Description
“eat your food as your medicines
otherwise you have to eat medicines as your food”
আমাদের দেশে খাবার-দাবারের প্যাটার্নটা খুব একটা ভালো না। অধিকাংশ মানুষ যে ধরনের খাবার খায় সেগুলো সুষম খাবার না। খাবারের ক্ষেত্রে দুটো জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হল টাইমিং। কখন খাবেন সকালের নাস্তা। কখন খাবেন দুপুরের খাবার। কখন রাতের খাবার খাবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাবার খেতে হবে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে। অথবা ঘুম থেকে উঠার আধা ঘন্টার মধ্যে। দুপুরের খাবার সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে। রাতের খাবার ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে খেতে হবে। এভাবে না খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবে। নানা রকম মেটাবলিক ডিসঅর্ডার দেখা দেবে। যার ফলে ডায়াবেটিস প্রেসার স্ট্রোক কিডনি ও হার্টের সমস্যা হতে পারে।
এরপরে হলো আপনি কি খাবেন। খাবারের কোয়ালিটি কেমন। আপনার প্রতিদিনের খাবারের ভিতরে প্রোটিন জাতীয় খাবার চর্বি জাতীয় খাবার শর্করা জাতীয় খাবার ফলমূল শাকসবজি থাকতে হবে। প্রতিদিন যদি আপনি সবগুলো খাবার থেকে কিছু কিছু খান তাহলে আপনার শরীর একটা সুষম খাবার পাবে এবং শরীরের সবকিছু ঠিক মত বজায় থাকবে। যদি এভাবে খাওয়া না হয় মানে একটি দুটি খাবার বাদ যায় বা একটি দুটি খাবারই সবসময় খাওয়া হয় তাহলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হবে। আপনার শরীর সুস্থ থাকবে না। নানা রকম রোগ যেমন ডায়াবেটিস প্রেসার স্ট্রোক কিডনি ও হার্টের সমস্যা দেখা দিবে।
তারপর হলো খাবারের পরিমাণ। খাবারের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার দেহের উচ্চতা এবং ওজনের উপর। আপনার দেহের উচ্চতা এবং আদর্শ ওজন যা তা থেকে হিসাব করে বের করতে হবে দৈনিক কি পরিমাণ খাবার আপনার জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি এর চেয়ে বেশি খান তাহলে আপনার শরীরের ক্যালরি জমতে জমতে একসময় ওজন বেড়ে যাবে। ডায়াবেটিস প্রেসার স্ট্রোক কিডনি ও হার্টের সমস্যা হবে। সুতরাং খাবারের পরিমাণ সম্পর্কেও আপনার একটা ধারণা থাকতে হবে।
খাবার দাবার সম্পর্কে যদি আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে এবং এটা মেইনটেইন করেন সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে অনেক রোগ কিন্তু ঔষধ ছাড়াই বা কম ঔষধে মোকাবেলা করা সম্ভব। এবং অনেক বয়স পর্যন্ত ডায়াবেটিস প্রেসার স্ট্রোক হার্ট ও কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারো এই রোগগুলো হয়ে গেলেও শুধুমাত্র প্রযোজ্য খাবারের নিয়ম মেনে খেলে সহজেই এই রোগগুলো নিয়েও ভালো থাকা সম্ভব।
Reviews
There are no reviews yet.