যৌবন যেভাবে আসে

adolescent sexual health

যৌনতা একটি সহজাত প্রবৃত্তি। তিন চার বছর বয়স থেকেই শিশুরা যৌন অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়। পুরুষ শিশু তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে। নারী শিশু অনেক সময় যৌন অনুভূতি লাভ করে অন্যের আদর করার ফলে। জোড়ালো চুম্বন এবং বার বার চুমু খাওয়া নারী শিশুর যৌনতার প্রকাশ। তিন চার বছরের নারী ও পুরুষ শিশু পরস্পরকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও যৌন আনন্দ লাভ করে থাকে বলে মনোবিজ্ঞানীদের ধারণা।

তবে যৌন আচরণগুলো শিশুরা পরিবেশ থেকে শিখে নেয় ক্রমান্বয়ে। এর মধ্যে নানা পরিবর্তন শুরু হয় তাদের দেহমনে। দশ থেকে আঠার বছর এই সময় কালেই যৌনতার বিকাশ ঘটে। পুরুষের চেয়ে মেয়েরা দ্রুত বিকশিত হয়।

 

মেয়েদের দৈহিক পরিবর্তন

মাথার মধ্যে পিটুইটারী নামক একটি গ্রন্থি আছে। মেয়েদের বয়স যখন দশ এগার বছর হয় তখন ঐ গ্রন্থি থেকে গোনাডোট্রপিন নামক একটি হরমোন নি:সৃত হয়। মেয়েদের তলপেটে ওভারী বা ডিম্বাশয় নামক একটি ছোট্ট অঙ্গ আছে। এই হরমোনটি উক্ত ডিম্বাশয়কে  উদ্দীপ্ত করে। ফলে ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোন নি:সৃত হয়। এটিকে মহিলা হরমোন বলে। এই হরমোনের প্রভাবেই নারীর দেহে নানা যৌনাঙ্গ বিকশিত হয়ে উঠে।

প্রথমেই স্তনযুগলের বাড়ন শুরু হয়। স্তনবৃন্তের চার পাশ অপেক্ষাকৃত কালো হয়ে যায়। মূলত এডিপোজ টিস্যু নামক এক ধরনের চর্বি স্তনে জমতে থাকে। ফলে এটি স্ফিত ও গোলাকার হয়ে উঠে। পরিপূর্ণ বিকশিত হতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগে। যে কোন একটি স্তন অন্যটির চেয়ে আগে বিকশিত হয়। তাই একটি স্তন ছোট ও অন্যটি তদপেক্ষা কিছুটা বড় হতে পারে। এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আরেকটি স্বচ্ছ ধারণা আমাদের সকলের থাকা জরুরী। সেটি হলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে হরমোনের প্রভাবে নারী দেহে স্তনযুগল বড় হয়ে যায় এবং সেটাই স্বাভাবিক। তাই এ নিয়ে লজ্জিত হওয়া বা বিব্রতবোধ করার কিছু নেই। নাক কান হাতের মতোই এটি একটি অঙ্গ যা পুরুষেরও আছে আবার নারীরও আছে।

এরপরে যৌনাঙ্গে চুল গজায়। প্রথমে পাতলা লালচে ধরনের থাকে পরে ঘন এবং কালো হতে থাকে। ঋতুস্রাব শুরুর সময় কিংবা প্রথম মাসিকের সময় বগলে চুল গজায়। এসময় মেয়েদের নিতম্ব অঞ্চল প্রশস্ত হতে থাকে। এবং পেট ও নিতম্বে চর্বি জমতে থাকে। ফলে নিতম্বদেশ কিছুটা ভারী হয়ে ওঠে।

তের বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। কারো কারো দশ বছরেও শুরু হয়ে যায় আবার অনেকের সতের আঠার বছর বয়সে হয়। পিটুইটারী গ্রন্থি থেকে যে গোনাডোট্রপিন হরমোন নি:সৃত হয় তা ওভারী বা ডিম্বাশয় উদ্দীপ্ত করে; ফলে ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরণ নামক দুটো হরমোন নি:সৃত হয়। এই হরমোন দুটোর প্রভাবে মহিলাদের তলপেটের জরায়ু থেকে মাসে মাসে যে ক্ষরণ হয় সেটাই হলো মাসিক।

মাসিক শুরু হলেই মেয়েরা সন্তান ধারণের উপযুক্ত হয় না। সেজন্য আরো কয়েকমাস সময় লাগে। এসময়ে ডিম্বাশয় পূর্ণতা লাভ করে যাতে প্রতিমাসে একটি করে পূর্ণতা প্রাপ্ত ডিম্বাণু নির্গমণ করতে পারে। জরায়ু আকারে বড় হয় এবং গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়ে উঠে। যৌনাঙ্গ থেকে এক ধরনের তরল পদার্থ নি:সৃত হয়। তখনই নারী যৌন সঙ্গমের উপযুক্ত হয়ে উঠে।

 

স্তন : শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ

জন্মের পর থেকেই একদম খাবার না খেয়ে বেঁচে আছে এমন কোন শিশু নারী পুরুষ নেই। বরং না খাওয়ার কারণে কিংবা অল্প খাবারের কারণে মারা গেছে এবং যাচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে প্রচুর। জন্মের পর পরই নবজাতক যেকোন ধরনের খাবার খেতে পারে না। তার দাঁত থাকে না- তাই শক্ত খাবার বা চিবিয়ে খেতে হয় এমন খাবার খাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তদুপরি নবজাতক শিশুর পাকস্থলী অনেক তরল খাবারও হজম করতে পারে না। তখন তার একমাত্র উপযোগী খাদ্য দুধ। দুধের মধ্যে রয়েছে গরু ছাগলের দুধ, পাউডার মিল্ক এবং মায়ের দুধ, শিশুর শরীরের জন্য ঐ বয়সে দরকার হয় এমন ভিটামিন মিনারেল পর্যাপ্ত রয়েছে কেবল মায়ের দুধেই। মায়ের দুধে আরো থাকে পর্যাপ্ত এন্টিবডি যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। জন্মের পর মূহুর্ত থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত এই মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাবার। এই সময়কালে মায়ের দুধ না দিয়ে গরু ছাগলের দুধ কিংবা পাউডার মিল্ক কোন শিশুকে খাওয়ালে তার শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে, মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হবে না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল হবে। তাই সারাজীবন ঐ শিশুকে মায়ের দুধ না খাওয়ার খেসারত দিয়ে যেতে হবে। সুতরাং নারীর বক্ষে যে স্তন দু’টি রয়েছে তার অত্যাবশ্যকীয়তা অপরিসীম। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আবশ্যক।

সৌন্দর্য বিচারেও নারীর স্তনের ভূমিকা রয়েছে। এটি নারী সৌন্দর্যকে যথার্থই বাড়িয়ে তোলে।

বয়:সন্ধির পর যৌন হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের স্তন বড় হতে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় উনিশ বিশ বছর বয়সেও কারো কারো স্তন সুগঠিত হয় না। এরকম হলে মেয়েরা সমবয়সী ছেলে বা মেয়েদের বিদ্রুপের শিকার হয়। সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে গিয়ে এক ধরনের হীনম্ম্যতায় ভূগতে শুরু করে এরকম মেয়েরা। এ থেকে নানারকম মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। মেয়েদের স্তন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ মূলত দু’টি। ডিম্বাশয় থেকে স্ত্রী যৌন হরমোন পর্যাপ্ত নি:সরণ না হওয়া। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট নিয়মে কৃত্রিম ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন বড়ি খাওয়ালে স্তনের আকার বড় হয়। ঔষধ  বন্ধ করার পর বড় হয়ে ওঠা স্তন সাধারণত ছোট হয়ে যায় না। অন্য কারণটি হলো- কারো কারো স্তনের গ্লান্ড ছোট হতে পারে। অথবা স্ত্রী হরমোনে স্তনের গ্লান্ড স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রতিক্রিয়াপ্রবণ হলে। এক্ষেত্রে হরমোন বড়ি খেয়ে কোন লাভ হয় না। বেশি খাওয়া দাওয়া করে ওজন বাড়াতে হবে মেয়েটিকে। তাতে সারা শরীরের সঙ্গে স্তনও কিছুটা বড় হবে।

স্তন বৃদ্ধিহীনতা তেমন কোন গুরুতর সমস্যা নয়। এ নিয়ে অযথা চিন্তা করার কিছু নেই। বিয়ের পর গর্ভবতী হলে বেশির ভাগ সময় আপনা থেকেই এটি ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেকের মনে সমস্যাটি গেঁথে যায়। তাদের নানারকম মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে প্লাষ্টিক সার্জারী করানো যেতে পারে।

স্তন মূলত জমাকৃত চর্বি ছাড়া আর কিছুই নয়। চর্বিপিন্ড স্তনের আকৃতি বজায় রাখে এবং স্তনকে নরম কোমল ও আকর্ষণীয় করে তোলে। স্তনে কোন মাংসপেশী নেই। বুকের পাজরের উপরের মাংসপেশীর সাথে এটি যুক্ত থাকে। স্তনের অগ্রভাগের ছোট বোটার ন্যায় অংশকে নিপল বলে। নিপলে স্নায়ুরা এসে ঘনিভূত হয়। অর্থাৎ এখানে স্নায়ুর সংখ্যা খুব বেশী থাকে। তাই নিপল খুবই স্পর্শ সংবেদী। স্তনের ভিতরে দুধ তেরীর একটা সিস্টেম রয়েছে। এতে ১৫ থেকে ২০টি দুধ তৈরীর অঞ্চল রয়েছে। এদের দেখতে আঙ্গুরের চাকার মত। এতে উৎপাদিত দুধ নালিকার মাধ্যমে নিপলে চলে আসে। মেয়েদের বয়:সন্ধিকালেই এই দুধ তৈরীর অঞ্চলগুলো ডেভলপ করতে শুরু করে কিন্তু তখন দুধ উৎপন্ন হয় না। গর্ভবতী হলে সে সময়ে নারীর স্তনে দুধ তৈরীর সিস্টেমটি পূর্ণ বিকশিত হয় এবং বাচ্চা জন্মের পর দুধ তৈরীর অঞ্চলগুলোতে দুধ উৎপন্ন হয় এবং নিপল মুখে নিয়ে চুষলে নালিকা দিয়ে দুধ নিপলে চলে আসে।

বয়:সন্ধির প্রাক্কালে মেয়েদের স্তন বৃদ্ধির শুরুতে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করে, লজ্জা বোধ করে। গায়ের রঙের তারতম্য ভেদে স্তনের রঙও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। দেহের আকার আকৃতির ভিন্নতার মতোই স্তনের আকার আকৃতিও নানা রকম হতে পারে।

নিপল খুব ছোট হলে তাতে করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। আর খুব বড় হলেও সেটা কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটা নির্ভর করে শরীরের গঠন প্রকৃতির উপর।

পাশাপাশি দু’টি স্তনের আকারও ভিন্ন হতে পারে। একই ব্যক্তির স্তন দু’টির কোনটি ছোট কোনটি বড় হতে পারে। অনেক পূর্ণ বয়স্ক নারীর স্তন একটির চেয়ে অন্যটি বড় কিংবা ছোট হয়ে থাকে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নাই কিংবা অসুখী হওয়ারও কোন মানে হয় না।

স্তন সাইজে ছোট হলে বাচ্চা দুধ পাবে না বলে অনেকের ধারণা। এটা অবান্তর। কারণ দুধ তৈরী হয় স্তনের ভিতরস্থিত গ্লান্ডে। এই গ্লান্ড সবারই একই রকম, স্তন ছোট বড় এটা নির্ভর করে ত্বকের নিচে জমাকৃত চর্বির উপর। সব মায়েরই দুধ উৎপাদন করার ক্ষমতা সমান।

 

পুরুষের দৈহিক পরিবর্তন

পুরুষ শিশুর বয়স যখন ১২তে পৌঁছায় তখন মাথার ভিতর যে পিটুইটারী গ্রন্থি থাকে সেখান থেকে গোনাডোট্রোপিন নামক এক ধরনের হরমোন নি:সৃত হয়। এই হরমোন পুরুষের টেস্টিস বা শুক্রাশয় বা অন্ডকোষকে উদ্দীপ্ত করে। ফলে শুক্রাশয় থেকে এন্ড্রোজেন নামক এক ধরনের হরমোন নি:সৃত হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই টেস্টিস বা শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু উৎপাদন শুরু হয়। এর প্রায় বছর খানেক পরে টেস্টিস বা শুক্রাশয় পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরণ উৎপাদন করে। এই টেস্টোস্টেরণ পুরুষের পৌরুষত্ব আনে। নানা বাহ্যিক যৌন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ও বিকাশ ঘটে।

প্রথমেই পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিকে সরু পাতলা চুল উঠে। পরে এগুলো ঘন কালো কোকড়ানো হয়ে যায়। বছর দুই পরে দাঁড়ি ও গোফ ওঠে। অনেক বালকেরা এসময় লোকজনের সামনে এমনকি পরিবারের বড়দের সামনে বিব্রতবোধ করে। অনেকে উপড়ানোর চেষ্টা করে। তবে শেভ করা বা কামিয়ে ফেলাই স্বাস্থ্যসম্মত। বুকে এবং পিঠেও চুল গজায় অনেকের। এসময় শরীরে আলাদা এক ধরনের গন্ধ তৈরী হয়।

পুরুষের যৌনাঙ্গের পূর্ণতা আসতে শুরু করে। অন্ডকোষ বা শুক্রথলির ত্বকের বর্ণ ও গঠনের পরিবর্তন ঘটে। এসময় অন্ডকোষ বা শুক্রাশয় আকারে বড়  হতে থাকে এবং পূর্ণ মাত্রায় শুক্রাণু উৎপাদন শুরু করে। পুরুষাঙ্গ বড় হতে থাকে। ঘুমের মধ্যে বীর্যস্খলন ঘটা শুরু হয় এসময় থেকেই। এটাকে অনেকে স্বপ্নদোষ বলে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এতে দোষের কিছু নেই। এটা কোন রোগও নয়। বরং কোন পুরুষের যৌন ক্ষমতা যে স্বাভাবিক আছে তাই প্রমাণ করে। কারো কারো স্তন একটু স্ফিত হয়ে যেতে পারে। তবে সেটা সাময়িক পরিবর্তন। পরে ঠিক হয়ে যায়।

কণ্ঠস্বরেও আসে এক দারুণ পরিবর্তন। সেটা ঘটে ভোকাল কর্ড পুরু হয়ে যাবার কারণে। চেহারায় পুরুষালী পরিবর্তন আসে। সবকিছুই ঘটে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরণের জন্য। কারো ১২তে কারো বড়জোড় ১৬তে। তবে ১৮ থেকে ২১ বছরে সবাই হয়ে উঠে পূর্ণ পুরুষ।

 

মানসিক ও আবেগজনিত পরিবর্তন

নানারকম দৈহিক পরিবর্তনে নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে এ বয়সের বালক বালিকারা। মজার ব্যাপার হলো এই বয়সী তরুণ তরুণীরা তাদের নতুন চেহারাকে নিজেরাই খুব উপভোগ করে। ঘন ঘন আয়না দেখা প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয় এই সময়। বালক আরো একটু বড় হলো- এটা দেখে সে একবার কলার টেনে নেয়। আর বালিকা চেহারায় কোমলতার ছোঁয়া এবং দেহের নানা জায়গায় চমৎকার পরিবর্তন দেখে সে নিজেই তৃপ্ত হয়ে যায়- হয়ে উঠে আরো একটু অহংকারী।

সমবয়সীরা এসব দৈহিক পরিবর্তন নিয়ে আলাপ করে। পরস্পরকে যৌন বিষয়ক নানা তথ্যও দিয়ে থাকে-যার অধিকাংশই ভুল।

কিছুটা বেপরোয়াও হয়ে ওঠে এসব পরিবর্তনের সাথে সাথে। অনেক সময় বাবা মা বা বড়দের সাথে মানসিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। নিজেকে খুব বেশি ম্যাচিউর মনে করে তখন সিগারেট খাওয়া শুরু করে। কিংবা বন্ধুরা মিলে বিয়ার মদ এমনকি ড্রাগ নেয়া শুরু করে। কেউ কেউ জড়িয়ে পরে বড় ভাইদের সাথে রাজনীতিতে। এমনসব ড্রেস পরে এসময়কার তরুণ-তরুণীরা যে মা বাবা অনেক সময় বিব্রত বোধ করেন। এ বয়সী তরুণ-তরুণীরা এমন সব গান শুনবে যে প্রায়ই বাবা মা’র ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে যায়। নতুন স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া এই তরুণ-তরুণীরা কোন নিয়ম শৃঙ্খলাই আর মানতে চায় না। এতোটাই আবেগী হয়ে ওঠে যে যৌন বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা পেতে চায় এই বয়সীরা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
WhatsApp